দ্রুত ট্রাইবুনাল গঠন করে বর্বর ধর্ষকগোষ্ঠীকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিন :: ছাত্র জমিয়ত, সিলেট জেলা
দ্রুত ট্রাইবুনাল গঠন করে বর্বর ধর্ষকগোষ্ঠীকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিন :: ছাত্র জমিয়ত, সিলেট জেলা
ছাত্র জমিয়ত কেন্দ্রঘোষিত দেশব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ ৫ অক্টোবর ২০২০ সোমবার বাদ আসর বন্দরবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে সিলেট জেলা ছাত্র জমিয়ত বিক্ষোভ মিছিল ও পথসমাবেশ করে।
মুমিনমাত্রই জুলুমের প্রতিবাদ করতে হবে। প্রথমত হাত দিয়ে। দ্বিতীয়ত মুখ দিয়ে। তৃতীয়ত হৃদয় দিয়ে। আফসুসের বিষয় হলো, আমাদের জীবন কেটে যাচ্ছে দ্বিতীয় ও তৃতীয়টিতেই। ৫০বছর থেকে শেষ ২টিতেই সীমাবদ্ধ। জুলুম বন্ধ হচ্ছে না, বরং বেড়েই চলছে। সমাধান প্রথমটিতেই। এটা কনফার্ম। কিন্তু এটা কে কার মাথায় ঢুকায়! চোর শুনেনা ধর্মের কাহিনী। পুরাতন জাহিলিয়্যাত নতুনভাবে মাথাচাড়া দিচ্ছে। ছাত্রসমাজ সজাগ হয়ে একে রুখতে হবে।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জমিয়তের সহসভাপতি সাবোক সংসদসদস্য জননেতা এডভোকেট মাওলানা শাহিনুর পাশা চৌধুরী। তিনি বলেন, ধর্ষণ এবং ছাত্রলীগ একসাথে চলতে পারেনা। প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিআকর্ষণ করে তিনি বলেন, সোনার ছেলে ধর্ষকদেরকে সামলান, না হয় সাধারণ জনতা আইন হাতে তুলে নেবে। সামলাতে না পারলে, এদেরকে ব্যন্ড ঘোষণা করুন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, যুবনেতা মাওলানা আখতারুজ জামান, সিলেট মহানগর ছাত্রজমিয়তের বিপ্লবী সভাপতি ছাত্রনেতা লুৎফুর রহমান ও কোতোয়ালী থানা জমিয়তের প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতি মুস্তফা সুহায়েল হেলালী। তারা বলেন, দেশের মানুষ আজ ইসলামী শাসন চায়। জনমত যাচাই করে দেখুন শতকরা ৮০% জনগণ আজকে ইসলামী বিচারব্যবস্থার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। ধর্ষকদেরকে ইসলামী আইনে জনসমক্ষে শাস্তি দিন। দেখবেন সমাজ থেকে গুম, খুন, রাহাজানী, হত্যা ও ধর্ষণ সর্বপ্রকার জুলুম বন্ধ হয়ে গেছে।
বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, জমিয়ত, যুবজমিয়ত, ছাত্র জমিয়ত সিলেট জেলা ও মহানগরের শতাধিক নেতৃবৃন্দ।
স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন করেন জেলা ছাত্র জমিয়তের যুগ্মসম্পাদক ইয়াহয়া হামিদী, সহসম্পাদক কাউসার আহমদ ও নুমান সিদ্দীক, প্রচার সম্পাদক কেএম তাহমীদ হাসান ও সদস্য ইমরান আহমদ।
পরিশেষে
মা জাতির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ছাত্র জমিয়ত সিলেট জেলার ৫ দফা দাবি পেশ করে:
১. ধর্ষকদের উপর প্রকাশ্যে ইসলামী আইন কার্যকর করতে হবে।
২. অশ্লীল সিনেমা, মহিলাদের দিয়ে ব্যবসায়ী বিজ্ঞাপন, রাস্তার মোড়ে মোড়ে মেয়েদের বিলবোর্ড দিয়ে পণ্যের প্রচার নিষিদ্ধ করতে হবে।
৩. কুরআন-সুন্নাহে বর্ণিত নারীদের প্রকৃত অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
৪. নারীদের জন্য পৃথক শিক্ষাব্যবস্থা ও কর্মক্ষেত্রের নিরাপদ ব্যবস্থা করতে হবে।
৫. মহিলারা পর্দা ও শালীন পোষাক নিজেদের জন্য বাধ্যতামূলক করতে হবে।
No comments